শুভ ধানমণ্ডির সাত নাম্বার রোডের ৩৩ নাম্বার দালানটিতে থাকে। বাড়িতে সে আর তার বাবা ছাড়া কেউ থাকে না । ছোট বেলায় মাকে হারায় । তাই মায়ের আদর- স্নেহ ভালবাসা দিয়ে শুভর বাবা তাকে তার মায়ের কষ্ট বুঝতে দেয় না । শুভ ঠিকমত বাড়িতে থাকেনা । সারাদিন এলাকার বন্ধু বান্ধবের সাথে ঘুরে বেরায় । তার বাবা তার একমাত্র ছেলে তার উপর মা নেই তাই ভেবে কিছু বলেনা । সারাদিন
বন্ধুদের সাথে পার্কে ,মলরসাইকেল ঘুরে ঘুরে বেরায় । একদিন শুভ নিজে তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয় ।সে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড রোড দিয়ে বাইক ফুল গিয়ারে চালাতে থাকে । হটাৎ
তার সামনে একটি বাস এসে পরলে সে বাইক নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলনা । বাসটি তাকে এমন ধাক্কা দিল যে সে ২০ হাত দূরে যেয়ে পরল । সাথেই ঢাকা মেডিকেল ।লোকেরা ধরাধরি করে সেখানেই তাকে ভর্তি করল ।শুভর বাবার কানে খবরটি পৌঁছালে তিনি অস্থির হয়ে ছুটতে ছুটতে হাসপাতালে আসেন । তার মনে আর সহ্য হয় না। তাই তিনি ধানমণ্ডির একটি হাসপাতালে শুভকে ভর্তি করলেন ।শুভর বাবা রাতে বাড়ি চলে গেলেন। শুভর এক বন্ধু ফাহিম ,তাকে শুভর সঙ্গে রেখে গেলেন । রাত ২ টার দিকে শুভর জ্ঞান ফিরে । তখন সে তার ডানদিকে ব্যাডের সামনে দেখল একটি মেয়ে একটি লোক কে ধরে চেঁচিয়ে কাঁদছে ।আমি আমার বন্ধূকে বললাম "লোকটি মেয়েটির কি হয়"? বন্ধু বলল মেয়েটির বাবা হয় । তার বাবা হার্ট এঁটেকে মারা গেছে ।মেয়েটি দেখতে এমনি ফর্শা যে কেঁদে মেয়েটির মুখের দশা একেবারে লাল হয়ে যায় । আমাকে পরদিন সকালে বাবা বাসায় নিয়ে যায় ।
-------To Be Continued-----